Header Ads

Header ADS

সালাতের পরিচয়


সালাতের পরিচয়

সালাতআরবি শব্দএর আভিধানিক অর্থ হলো, দোয়া করা, কারো দিকে মুখ করা, অগ্রসর হওয়া, ক্ষমা প্রার্থনা করা,দয়া করা, দরুদ পাঠ করা, রহমত, ইসতিগফার ইত্যাদি শরিআতের পরিভাষায়, আল্লাহতাআলার নির্দেশিত বিশেষ একটি ইবাদত যা তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক প্রদর্শিত বিধিবিধান মোতাবেক রুকু সিজদাসহকারে নির্ধারিত পদ্ধতিতে আদায় করা হয়, তাকে সালাত বলা হয়
সালাতকে নামাজও বলা হয়  নামাজ ফারসি শব্দইসলামে নামাজের গুরুত্ব অপরিসীমইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে এটি দ্বিতীয় স্তম্ভসালাত কুরআন, হাদিস এবং ইজমা দ্বারা প্রমাণিত সর্বসম্মত একটি ফরজনামাজকে দ্বীনের খুঁটি বলা হয়েছেখুঁটি  ছাড়া যেমন ঘর হয় না, তেমনি নামাজ ব্যতিরেকে দীন পরিপূর্ণ হয় নাপ্রত্যেক বালেগ, সুস্থ ও জ্ঞানবাদ পুরুষ ও মহিলার ওপর নামাজ ফরজে আইনশরিআসম্মত  ওজর ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ তরক করা কবিরা গুনাহরাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মক্কি জীবনে মিরাজের সময় পাঁচ ওয়াক্ত সালাত ফরজ করা হয়ঈমানের পরই সালাতের স্থাননামাজের ফরজিয়াতকে অস্বীকার করলে সে কাফের বলে গণ্য হবেএকজন লোকের ঈমানের মান ও বাস্তবরুপ প্রকাশ পায় তার সালাত আদায়ের মাধ্যমেসালাত সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসের কয়েকটি উদ্ধৃতি এরূপঃ

إِنَّ ٱلْإِنسَٰنَ خُلِقَ هَلُوعًا. إِذَا مَسَّهُ ٱلشَّرُّ جَزُوعًا. وَإِذَا مَسَّهُ ٱلْخَيْرُ مَنُوعًا. إِلَّا ٱلْمُصَلِّينَ.
  নিশ্চয় মানুষকে সৃষ্টি করা হয়েছে অস্থির করেযখন তাকে বিপদ স্পর্শ করে তখন সে হয়ে পড়ে অতিমাত্রায় উৎকন্ঠিতআর যখন কল্যাণ তাকে স্পর্শ করে তখন সে হয়ে পড়ে অতিশয় কৃপণসলাত আদায়কারীগণ ছাড়া,      (সূরা মাআরিজ,আয়াতঃ ১৯-২২)

كَلَّا لَا تُطِعْهُ وَٱسْجُدْ وَٱقْتَرِب

 কখনো নয়, তুমি তার আনুগত্য করবে নাআর সিজদা কর এবং নৈকট্য লাভ কর      (সূরা আলাক,আয়াতঃ ১৯)

فَوَيْلٌ لِّلْمُصَلِّينَٱلَّذِينَ هُمْ عَن صَلَاتِهِمْ سَاهُونَٱلَّذِينَ هُمْ يُرَآءُونَ

 অতএব সেই সলাত আদায়কারীদের জন্য দুর্ভোগ,যারা নিজদের সালাতে অমনোযোগী,যারা লোক দেখানোর জন্য তা করে,    (সূরা মাউন,আয়াতঃ ৪-৬)

ٱتْلُ مَآ أُوحِىَ إِلَيْكَ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَأَقِمِ ٱلصَّلَوٰةَ ۖ إِنَّ ٱلصَّلَوٰةَ تَنْهَىٰ عَنِ ٱلْفَحْشَآءِ وَٱلْمُنكَرِ ۗ وَلَذِكْرُ ٱللَّهِ أَكْبَرُ ۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ مَا تَصْنَعُونَ

  তোমার প্রতি যে কিতাব ওহী করা হয়েছে, তা থেকে তিলাওয়াত কর এবং সলাত কায়েম কর নিশ্চয় সলাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখেআর আল্লাহর স্মরণই তো সর্বশ্রেষ্ঠআল্লাহ জানেন যা তোমরা কর(সূরা  আনকাবুত,আয়াতঃ ৪৫)
وَٱسْتَعِينُوا۟ بِٱلصَّبْرِ وَٱلصَّلَوٰةِ ۚ وَإِنَّهَا لَكَبِيرَةٌ إِلَّا عَلَى ٱلْخَٰشِعِينَ

 আর তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাওনিশ্চয় তা বিনয়ী ছাড়া অন্যদের উপর কঠিন।   (সূরা বাকারা,আয়াতঃ ৪৫)

وَأَقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتُوا۟ ٱلزَّكَوٰةَ وَٱرْكَعُوا۟ مَعَ ٱلرَّٰكِعِينَ

 আর তোমরা সলাত কায়েম কর, যাকাত প্রদান কর এবং রুকূকারীদের সাথে রুকূ কর।     (সূরা বাকারা,আয়াতঃ ৪৩)

حَٰفِظُوا۟ عَلَى ٱلصَّلَوَٰتِ وَٱلصَّلَوٰةِ ٱلْوُسْطَىٰ وَقُومُوا۟ لِلَّهِ قَٰنِتِين
َ
  তোমরা সলাতসমূহ ও মধ্যবর্তী সালাতের হিফাযত কর এবং আল্লাহর জন্য দাঁড়াও বিনীত হয়ে।     (সূরা বাকারা,আয়াতঃ ২৩৮)

وَأْمُرْ أَهْلَكَ بِٱلصَّلَوٰةِ وَٱصْطَبِرْ عَلَيْهَا ۖ لَا نَسْـَٔلُكَ رِزْقًا ۖ نَّحْنُ نَرْزُقُكَ ۗ وَٱلْعَٰقِبَةُ لِلتَّقْوَىٰ

 আর তোমার পরিবার-পরিজনকে সলাত আদায়ের আদেশ দাও এবং নিজেও তার উপর অবিচল থাক আমি তোমার কাছে কোন রিযিক চাই নাআমিই তোমাকে রিযিক দেই আর শুভ পরিণাম তো মুত্তাকীদের জন্য।       (সূরা ত্বাহা,আয়াতঃ ১৩২)

قَدْ أَفْلَحَ ٱلْمُؤْمِنُونَٱلَّذِينَ هُمْ فِى صَلَاتِهِمْ خَٰشِعُونَ
 যারা নিজদের সালাতে বিনয়াবনত।        (সূরা মুমিনুন,আয়াতঃ ১-২)

১০  মুমিন ও কুফরের মধ্যে সালাত হলো পার্থক্যকারী  (সহীহ বুখারী শরীফ)

১১  দীন ইসলামের সমগ্র বিধানটি এ নামাজের ওপরই দাঁড়িয়ে আছেমাহান আল্লাহর বাণী হতে একথার প্রমাণ পাওয়া যায়আল্লাহ বলেন,
 
قُل لِّعِبَادِىَ ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ يُقِيمُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَيُنفِقُوا۟ مِمَّا رَزَقْنَٰهُمْ سِرًّا وَعَلَانِيَةً مِّن قَبْلِ أَن يَأْتِىَ يَوْمٌ لَّا بَيْعٌ فِيهِ وَلَا خِلَٰلٌ
আমার বান্দাদের বল, ‘যারা ঈমান এনেছে, তারা যেন সলাত কায়েম করে এবং আমি তাদেরকে যে রিযিক দিয়েছি তা থেকে গোপনে ও প্রকাশ্যে ব্যয় করে, ঐ দিন আসার পূর্বে যে দিন কোন বেচা-কেনা থাকবে না এবং থাকবে না বন্ধুত্বও।    (সূরা ইব্রাহীম,আয়াতঃ ৩১)

১২  আরো বলা হয়েছে,
          يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ ٱرْكَعُوا۟ وَٱسْجُدُوا۟ وَٱعْبُدُوا۟ رَبَّكُمْ وَٱفْعَلُوا۟ ٱلْخَيْرَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ

অর্থঃ হে মুমিনগণ, তোমরা রুকূকর, সিজদা কর, তোমাদের রবের ইবাদাত কর এবং ভাল কাজ কর, আশা করা যায় তোমরা সফল হতে পারবে।    (সূরা আল-হাজ্জ,আয়াতঃ ৭৭)

সুত্রঃ বুক অব ইসলামিক নলেজ, লেখকঃ ইকবাল কবীর মোহন

কিয়ামতের প্রথম প্রশ্ন সালাত: আপনি কি প্রস্তুত?

কিয়ামতের প্রথম প্রশ্ন সালাত: আপনি কি প্রস্তুত?




কিয়ামতের প্রথম প্রশ্ন সালাত: আপনি কি প্রস্তুত?

আজকের পোস্টে ছয়টি বিষয় আলোচিত হয়েছে:

১) ছলাতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ
২) ফযীলত বা মর্যাদা
৩) ইসলামে নামাযের গুরুত্ব
৪) নামাযের বিধান
৫) অসময়ে নামায আদায়ের ভয়াবহতা
৬) নামাযের কয়েকটি উপকারিতা

১) ছলাতের শাব্দিক ও পারিভাষিক অর্থ:

ছলাত (الصلاة) শব্দের আভিধানিক অর্থ দুআইসলামী শরীয়তের পরিভাষায় ছালাত হল, নির্দিষ্ট কিছু কথা ও কাজের মাধ্যমে আল্লাহর ইবাদত করা, যা তাকবীর তথাআল্লাহু আকবা বলে শুরু করতে হয় এবং তাসলীম তথা আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ্বলে শেষ করতে হয়

২) নামাযের ফযীলতঃ

আল্লাহ তাআলা বলেন:
(إنَّ الصَّلاَةَ تَنْهَى عَنْ الْفَحْشاَءِ وَالْمُنْكَرِ وَلَذِكْرُ اللهِ أكْبَرُ وَاللهُ يَعْلَمُ ماَ تَصْنَعُوْنَ)
নিশ্চয় নামায অশ্লিলতা ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে, আর আল্লাহর যিকির (স্মরণ) হল সবচাইতে বড়, এবং তোমরা যা কর সে স¤পর্কে তিনি জ্ঞান রাখেন” (সূরা আনকাবুত: ৪৫)

হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)কে বলতে শুনেছেন, তিনি বলেনঃ
أرأيتُم لَوْ أنَّ نَهْراً بِباَبِ أحَدِكُمْ يَغْتَسِلُ مِنْهُ كُلَّ يَوْمٍ خَمْسَ مَرَّاتٍ, هَلْ يَبْقَى مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ ؟ قاَلُوْا : لاَ يَبْقىَ مِنْ دَرَنِهِ شَيْءٌ . قَالَ: فَذَلِكَ مِثْلُ الصَّلَواَتِ الْخَمْسِ, يَمْحُوْ اللهُ بِهِنَّ الْخَطاَياَ
তোমরা কি মনে কর, তোমাদের কারো ঘরের সামনে যদি একটি নদী প্রবাহিত থাকেএবং প্রতিদিন সে উহাতে পাঁচ বার গোসল করে, তবে তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে কি? তাঁরা (সাহাবাগণ) বললেনঃ তার শরীরে কোন ময়লাই বাকী থাকতে পারে নাতিনি বললেনঃ এরূপ উদাহরণ হল পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের ক্ষেত্রেওএভাবে নামাযের বিনিময়ে আল্লাহ্ নামাযীর যাবতীয় (ছোট) পাপ মোচন করে দেন” (সহীহ বুখারী অনুচ্ছেদ: পাঁচ ওয়াক্ত নামায গুনাহ সমূহের কাফফারা স্বরূপ)

৩) ইসলামে নামাযের মর্যাদাঃ

১) ইসলামের পাঁচটি স্তম্ভের মধ্যে নামায হল দ্বিতীয় স্তম্ভকালেমার পরেই উহার স্থানআল্লাহ তায়ালা স্বীয় রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম)কে উর্ধ্বাকাশে মেরাজে নিয়ে সরাসরি কথপোকথনের মাধ্যমে মুসলিম জাতির উপর এই নামায ফরয করেছেন

২) বান্দা সর্বপ্রথম নামাযের ব্যাপারেই জিজ্ঞাসিত হবেআবু হুরাইরা (রাঃ) বলেনঃ রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ

 إنَّ أوَّلَ مَا يُحَاسَبُ بِهِ الْعَبْدُ بِصَلاَتِهِ , فَإنْ صَلَحَتْ فَقَدْ أفْلَحَ وَأنْجَحَ ,وَإنْ فَسَدَتْ فَقَدْ خاَبَ وَخَسِرَ

“(কিয়ামতের ময়দানে)বান্দার সর্বপ্রথম যে আমলের হিসাব নেয়া হবে তা হল এই নামাযউহা যদি বিশুদ্ধ হয়ে যায় তবে সে মুক্তি পেয়ে গেল ও সফল হলআর উহা যদি বিনষ্ট বা বরবাদ হয়ে যায়, তবে সে ধ্বংস ও ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে গেল” (তিরমিযী, নাসাঈ, আবু দাঊদ ও ইবনু মাজাহ্হাদীছের ভাষ্য নাসাঈর)

৪) নামাযের বিধানঃ

ইসলামে নামাযের গুরুত্ব সম্পর্কে অজ্ঞ থাকার কারণে কেহ যদি নামাযের অপরিহার্যতা অস্বীকার করে তবে এ সম্পর্কে তাকে জ্ঞান দান করা হবেনসীহত গ্রহন করলে ভাল কথাঅন্যথায় সে কাফের হিসেবে গণ্য হবেআর অবাধ্যতা বা হঠকারিতার কারণে যদি নামাযের অপরিহার্যতা অস্বীকার করে তবে নামায পড়লেও সে কাফের হিসেবে গণ্য হবে
বুরাইদা (রা:) থেকে বর্ণিততিনি বলেন: রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
(إنَّ الْعَهْدَ الَّذِيْ بَيْنَناَ وَبَيْنَهُمْ الصَّلاَةُ، فَمَنْ تَرَكَهاَ فَقَدْ كَفَرَ )
তাদের (কাফেরদের) এবং আমাদের মাঝে চুক্তি হচ্ছে নামাযে, যে উহা পরিত্যাগ করল সে কুফুরী করল” (তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনু মাজাহ্)
হযরত জাবের (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) থেকে বর্ণনা করেনতিনি বলেনঃ
( إنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكُ الصَّـلاَةِ )
নিশ্চয় একজন ব্যক্তি, র্শিক এবং কুফুরীর মাঝে (পর্দা বা) পার্থক্য হল নামায পরিত্যাগ করা” (মুসলিম)
কারণে সন্তান সাত বছর বয়সে পদার্পণ করলেই তাকে নামাযের নির্দেশ দিতে হবে যাতে করে সে এ ব্যাপারে অভ্যস্ত হয়ে যায়রাসূলুল্লাহ্ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ
مُرُوْا أوْلاَدَكُمْ بِالصَّلاَةِ وَهُمْ أبْنَاءُ سَبْعَ سِنِيْنَ, وَاضْرِبُوْهُمْ عَلَيْهاَ وَهُمْ أبْناَءُ عَشَرَ سِنِيْنَ, وَفَرِّقُوْا بَيْنَهُمْ فِيْ الْمَضاَجِعِ
সন্তানদের বয়স সাত বছর হলে তোমারা তাদেরকে নামাযের জন্য আদেশ করবেদশ বছর বয়সে নামায না পড়লে তাদেরকে প্রহার করবে, এবং তাদের বিছানা আলাদা করে দিবে“ (আবু দাউদ)

৫) অসময়ে নামায আদায় করার ভয়াবহতা:

ইচ্ছাকৃত ভাবে অসময়ে নামায আদায় বৈধ নয় (হারাম)তবে দুই নামায একত্রিত করার যে শরীয়ত সম্মত বিধান আছে সে অনুযায়ী অসময়ে নামায আদায় করা যায়
আল্লাহ তাআলা বলেন:
إنَّ الصَّلاَةَ كاَنَتْ عَلىَ الْمُؤْمِنِيْنَ كِتاَباً مَوْقُوْتاً
নিশ্চয় (নির্দিষ্ট) সময়ের মধ্যে নামায আদায় করা মুমিনদের উপর ফরয করা হয়েছে” (সূরা নিসা: ১০৩)
দেখা যায় অনেকে কর্মস্থলে যাওয়ার জন্য সূর্য উঠার পর টাইম দিয়ে এলার্ম ঘড়ি প্রস্তুত করে এবং ফযরের সময় জামাতের নামায পরিত্যাগ করেএরূপ করা কাবীরা গুনাহ্ অন্তর্গত; বরং কোন কোন ফিকাহবিদ এরূপ করা কুফুরী বলেছেন
আল্লাহ তায়ালা বলেন:
(إنَّ الصَّلاَةَ تَنْهَي عَنْ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ ولَذِكْرُ اللهِ أكْبَرُ وَاللهُ يَعْلَمُ ماَ تَصْنَعُوْنَ)
নিশ্চয় নামায অশ্লীলতা (পাপাচার) ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে, আর আল্লাহর যিকির (স্মরণ) হল সবচাইতে বড়, এবং তোমরা যা কর সে স¤পর্কে তিনি জ্ঞান রাখেন” (সূরা আনকাবূত: ৪৫)

৬) নামাযের কয়েকটি উপকারিতাঃ

ক) নামায ব্যক্তিকে পাপাচার থেকে বিরত রাখে:নামায ব্যক্তিকে পাপাচার থেকে বিরত রাখেযেমন,আল্লাহ্ বলেন,
(إنَّ الصَّلاَةَ تَنْهَي عَنْ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ)
নিশ্চয় নামায অশ্লিলতা (পাপাচার) ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে।(সূরা আনকাবূত: ৪৫)

খ) বিপদ-মুসিবতে আত্মাকে শক্তিশালী করে:নামায বিপদ-মুসিবতে আত্মাকে শক্তিশালী করেতাই আল্লাহ্ তায়ালা ধৈর্য ও ছলাতের মাধ্যমে আল্লাহর সাহায্য প্রার্থনা করার নিদের্শ দিয়ে বলেন,
(وَاسْتَعِيْنُوْا بِالصَّبْرِ وَالصَّلاَةِ)
তোমরা ধৈর্য এবং নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর।(সূরা বাকারা: ১৫৩)

গ) নামাযের মাধ্যমে অন্তরে নেমে আসে প্রগাঢ়শান্তি এবং এর মাধ্যমে প্রভুর সাথে নামাযীর প্রগাঢ় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়:নামাযের মাধ্যমে অন্তরে নেমে আসে প্রগাঢ় শান্তি এবং এর মাধ্যমে প্রভুর সাথে নামাযীর প্রগাঢ় সম্পর্ক সৃষ্টি হয়নামায হচ্ছে মুসলিম ব্যক্তির হৃদয়ের প্রশান্তি এবং তার সাহায্যকারী 
যেমন রাসূল (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) বলতেন
হে বেলাল! নামাযের মাধ্যমে আমাদেরকে শান্তি দাও“(সুনান আবু দাউদশাইখ আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন।)

ঘ) নামায মুসলিম সমাজে প্রেম-ভালাবাসা এবং সত্যিকার ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন সৃষ্টিকরে:নামায মুসলিম সমাজে প্রেম-ভালাবাসা এবং সত্যিকার ভ্রাতৃত্বের সেতুবন্ধন সৃষ্টিকরেকেননা, দৈনন্দিন পাঁচবার শৃংখলার সাথে নামায আদায়ের লক্ষ্যে সমবেত হওয়া আত্মিক স¤পর্ক গড়ে তোলার জন্য শ্রেষ্ঠ পন্থা পারস্পরিক ঐক্যবদ্ধতার জন্য সুন্দর নিয়ম
আর একক প্রভুর উদ্দেশ্যে একটি মাত্র ইবাদত আদায়ের লক্ষ্যে মুসলিম হৃদয় ধাবিত হওয়া, সমভাবে প্রভুর সম্মুখে দন্ডায়মান হওয়া- তাদের আত্মীক পরিচ্ছন্নতা ও পারস্পাপরিক শ্রদ্ধাশীল সম্পর্কের দাবীদার

ঙ) আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে নামাযের উপকারিতা সুপ্রমাণিত:আধুনিক চিকিৎসা শাস্ত্রে প্রমাণিত হয়েছে যে, নামাযের মাধ্যমে শরীরের গ্রন্থি সমূহ এবং মাংশপেশীকে রোগমুক্ত রাখতে প্রভূত সাহায্য পাওয়া যায়

পরিশেষে আসুন, আমরা নিজেরা নিজেরা পাঁচ ওয়াক্ত নামায যথা সময়ে আদায় করি, নিজেদের স্ত্রী-পরিবার, সন্তান-সন্ততিকে নামাযের নিদের্শ প্রদান করি বন্ধু-বান্ধব, প্রতিবেশি, সহকর্মী সহ প্রতিটি মুসলিমকে নামাযে অভ্যস্ত হওয়ার জন্য উৎসহিত করিআল্লাহ আমাদের সহায় হোনআমীন

অনুবাদক: মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী
সাবেক অনুবাদক ও দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সৌদী আরব

নামাযের ফযীলতে ২৫টি সুসংবাদ

নামাযের ফযীলতে ২৫টি সুসংবাদ




নামাযের ফযীলতে ২৫টি সুসংবাদ

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুলল্লাহ

সম্মানিত বন্ধুরা, আজ আমরা জানব কুরআনও সহীহ হাদীসের আলোকে নামাযের ফযীলত সম্পর্কে ২৫টি সুসংবাদ
বিষয়টি ইনশাআল্লাহ আমাদেরকে নামাযে আরও যত্নবান হওয়ার ক্ষেত্রে সাহায্য করবে তাহলে আসুন আমরা বিষয়টি একটু মনোযোগ সহকারে পড়িআল্লাহ আমাদের সবাইকে নামাযী হিসেবে কবুল করে সৌভাগ্যশালীদের অন্তর্ভুক্ত করুনআমীন

ছালাত সর্বোত্তম আমল: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে প্রশ্ন করা হল কোন আমলটি সর্বোত্তম? তিনি বললেন, সময়মত ছালাত আদায় করা। (মুসলিম)

ছালাত বান্দা এবং প্রভুর মাঝে সম্পর্কের মাধ্যম: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
তোমাদের কেউ যখন ছালাত আদায় করে, তখন সে তার পালনকর্তার সাথে গোপনে কথা বলে। (বুখারী)

ছালাত দ্বীনের মূল খুঁটি: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
সবকিছুর মূল হচ্ছে ইসলামতার (ইসলামের) মূল স্তম্ভ হচ্ছে ছালাত এবং তার (ইসলামের) সর্বোচ্চ চুড়া হচ্ছে জিহাদ। (তিরমিযী)

ছালাত হচ্ছে আলোকবর্তিকা: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
ছালাত হচ্ছে (কিয়ামতের দিন বান্দার জন্য) নূর বা আলোকবর্তিকা। (মুসলিম, তিরমিযী)

মুনাফেকী থেকে মুক্তি লাভের মাধ্যম হচ্ছে ছালাতঃ 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
মুনাফেকদের উপর ফজর ও এশা ছালাতের চাইতে অধিক ভারী কোন ছালাত নেইতারা যদি জানত এ দুছালাতে কত ছওয়াব রয়েছে, তবে হামাগুড়ি দিয়ে হলেও তাতে উপস্থিত হত (বুখারী ও মুসলিম)

ছালাত জাহান্নাম থেকে নিরাপত্তার গ্যারান্টি: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
কখনই জাহান্নামে প্রবেশ করবে না এমন ব্যক্তি, যে সূর্যোদয়ের পূর্বে ছালাত আদায় করেছে এবং সূর্যাস্তের-র পূর্বে ছালাত আদায় করেছেঅর্থাৎ- ফজর ও আছর ছালাত। (মুসলিম)

নিশ্চয় ছালাত মানুষকে অশ্লীল ও গর্হিত কাজ থেকে বিরত রাখে: 
আল্লাহ্‌ তাআলা বলেন, 
اتْلُ مَا أُوحِيَ إِلَيْكَ مِنْ الْكِتَابِ وَأَقِمْ الصَّلَاةَ إِنَّ الصَّلَاةَ تَنْهَى عَنْ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ
কুরআনের যা আপনার কাছে ওহী করা হয়েছে তা পাঠ করুন এবং ছালাত প্রতিষ্ঠা করুন নিশ্চয় ছালাত অশ্লীল ও গর্হিত বিষয় থেকে বিরত রাখে। (সূরা আনকাবূত- ৪৫)

সকল কাজে সাহায্য লাভের মাধ্যম ছালাত: 
আল্লাহ্‌ বলেন, 
وَاسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ 
তোমরা ছবর (ধৈর্য) এবং ছালাতের মাধ্যমে (আল্লাহ্‌র কাছে) সাহায্য প্রার্থনা কর। (সূরা বাক্বারা- ৪৫)

একাকী ছালাত আদায় করার চেয়ে জামাতে আদায় করা অনেক উত্তম: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
একাকী ছালাত আদায় করার চেয়ে জামাতের সাথে ছালাত আদায় করা পঁচিশ গুণ বেশী মর্যাদা সম্পন্ন। (বুখারী ও মুসলিম)

ফেরেশতারা মুছল্লীর জন্য মাগফেরাত ও রহমতের দুয়া করেন: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
তোমাদের কোন ব্যক্তি ছালাত আদায় করার পর যতক্ষণ স্বীয় জায়নামাজে বসে থাকে ততক্ষণ ওযু ভঙ্গ না হওয়া পর্যন্ত ফেরেশতারা তার জন্য দুআ করতে থাকেবলে, হে আল্লাহ্‌ তাকে ক্ষমা কর, তাকে রহম কর। (বুখারী ও মুসলিম)

ছালাত গুনাহ্‌ মাফের মাধ্যম: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যে ব্যক্তি ছালাতের জন্য ওযু করবে এবং ওযুকে পরি পূর্ণরূপে করবেতারপর ফরয ছালাত আদায় করার জন্য পথ চলবে; অতঃপর তা মানুষের সাথে বা জামাতে বা মসজিদে আদায় করবে, তাহলে আল্লাহ্‌ তার গুনাহ্‌ সমূহ ক্ষমা করে দিবেন। (মুসলিম)

ছালাতের মাধ্যমে শরীর থেকে গুনাহ‌গুলো বের হয়ে যায়: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
তোমরা কি মনে কর, তোমাদের কারো ঘরের সামনে যদি একটি নদী প্রবাহিত থাকেএবং প্রতিদিন সে উহাতে পাঁচ বার গোসল করে, তবে তার শরীরে কোন ময়লা থাকবে কি? তাঁরা (সাহাবিগণ) বললেন: কোন ময়লাই বাকী থাকতে পারে নাতিনি বললেন: এরূপ উদাহরণ হল পাঁচ ওয়াক্ত ছালাতের ক্ষেত্রেওএভাবে ছালাতের বিনিময়ে আল্লাহ্‌ নামাযীর যাবতীয় (ছোট) পাপগুলো মোচন করে দেন। (বুখারী ও মুসলিম)

ছালাতের জন্য মসজিদে গমন করলে এক পদে গুনাহ মোচন হয় অন্য পদে মর্যাদা উন্নীত হয়:
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যে ব্যক্তি নিজ গৃহে ওযুর মাধ্যমে পবিত্রতা অর্জন করে, তারপর আল্লাহ্‌র কোন এক ঘরে (মসজিদে) যায় আল্লাহ্‌র কোন একটি ফরজ ছালাত আদায় করার জন্য, তবে তার পদক্ষেপগুলোর বিনিময়ে একটি পদে একটি গুনাহ মোচন করা হয় অন্য পদে একটি মর্যাদা উন্নীত হয়। (মুসলিম)

আগেভাগে ছালাতে আসার মর্যাদা: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
মানুষ যদি জানত আজান দেয়া এবং প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করার প্রতিদান কি, তাহলে (কে আজান দেবে বা কে প্রথম কাতারে ছালাত আদায় করবে তা নির্ধারণ করার জন্য) তারা পরস্পর লটারি করতে বাধ্য হততারা যদি জানত আগেভাগে ছালাতে আসাতে কি প্রতিদান রয়েছে তবে, তারা প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ত। (বুখারী ও মুসলিম)

ছালাতের জন্য অপেক্ষাকারী ছালাতরতই থাকে: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
তোমাদের কোন ব্যক্তি ছালারতই থাকে যতক্ষণ ছালাত তাকে বাধা দিয়ে রাখেশুধু ছালাতই তাকে নিজ গৃহে বা পরিবারের কাছে ফিরে যাওয়া থেকে বিরত রাখে। (বুখারী ও মুসলিম)

ছালাতে আমীন বলার দ্বারা পূর্বের গুনাহ্‌ ক্ষমা হয়ে যায়: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
তোমাদের কোন ব্যক্তি যখন (সূরা ফাতিহা শেষে) আমীনবলেআর ফেরেশতারা আসমানে বলেআমীনতাদের একজনের আমীন বলা অন্য জনের সাথে মিলে গেলে তার পূর্বের গুনাহ্‌ ক্ষমা হয়ে যায়। (বুখারী ও মুসলিম)

ছালাতের মাধ্যমে আল্লাহ্‌র নিরাপত্তা লাভ করা যায়: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যে ব্যক্তি সকালের (ফজর) ছালাত আদায় করে সে আল্লাহ্‌র জিম্মাদারিতে হয়ে যায়ভেবে দেখ হে আদম সন্তান! আল্লাহ্‌ যেন তার জিম্মাদারিতে তোমার কাছে কোন কিছু চেয়ে না বসেন। (মুসলিম)

ছালাতের দ্বারা কিয়ামত দিবসে পরিপূর্ণ নূর লাভ করা যায়: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যারা অন্ধকারে (অর্থাৎ- ফজরের ছালাত আদায় করার জন্য) মসজিদে গমন করে, তাদেরকে কিয়ামত দিবসে পরিপূর্ণ নূরের সুসংবাদ দিয়ে দাও। (আবূ দাঊদ, তিরমিযী)

আছর ও ফজরের ছালাত আদায়কারীর জন্য জান্নাতের সুসংবাদ: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যে ব্যক্তি দুঠান্ডার সময়ের (আছর ও ফজর) ছালাত আদায় করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বুখারী ও মুসলিম)

পুলসিরাত পার হয়ে জান্নাতে যাওয়ার সুসংবাদ: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
প্রত্যেক পরহেজগার ব্যক্তির গৃহ হচ্ছে মসজিদআর যে ব্যক্তির গৃহ হবে মসজিদ আল্লাহ্‌ তার জন্য করুণা ও দয়ার জিম্মাদার হয়ে যান এবং আরও জিম্মাদারি নেন পুলসিরাত পার হয়ে আল্লাহ্‌র সনষ্টি জান্নাতে যাওয়ার। (ত্ববরানী, শায়খ আলবানী হাদছীটিকে ছহীহ বলেছেন।)

ছালাত শয়তান থেকে নিরাপদ থাকার মাধ্যম: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
কোন গ্রামে যদি তিনজন লোক থাকে এবং তারা জামাতের সাথে ছালাত প্রতিষ্ঠা না করে তবে শয়তান তাদের উপর প্রাধান্য বিস্তার করেসুতরাং তোমরা জামাত বদ্ধ থাক কেননা দুল ছুট একক ছাগলকে নেকড়ে বাঘ খেয়ে ফেলে। (আহমাদ, আবু দাউদ, নাসাঈ, দ্র: ছহীহুল জামে হা/ ৫৭০১)

ছালাত আদায়কারীর জন্য ফেরেশতারা সাক্ষ্য দান ককরে:
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
রাতে একদল ফেরেশতা এবং দিনে একদল ফেরেশতা তোমাদের নিকট আআগমনকরেতারা ফজর ছালাত এবং আছর ছালাতে পরস্পর মিলিত হয়তারপর যেসকল ফেরেশতা রাতে তোমাদের নিকট আআগমনকরেছিল তারা চলে যায়, তখন আল্লাহ্‌ তাদেরকে জিজ্ঞেস করেন- অথচ তিনি সর্বাধিক জানেন- আমার বান্দাদেরকে কি অবস্থায় ছেড়ে এসেছ? তারা বলে, তাদেরকে রেখে এসেছি এমন অবস্থায় যে তারা ছালাত আদায় করছে এবং তাদেরকে এমন অবস্থায় আমরা পেয়েছি যে তারা ছালাত আদায় করছেঅন্য বর্ণনায় আছে, আমরা যখন তাদের কাছে যাই তখন তারা ছালাতরত ছিল এবং যখন তাদেরকে ছেড়ে আসি তখনও তারা ছালাতরত ছিলসুতরাং তাদেরকে হিসাবের দিন ক্ষমা করুন। (বুখারী ও মুসলিম, দ্র: ছহীহ্‌ তারগীব ও তারহীব হা/৪৬৩)

পূর্ণ রাত নফল ছালাত আদায় করার ছওয়াব: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যে ব্যক্তি এশা ছালাত জামাতের সাথে আদায় করবে, সে যেন অর্ধ রাত্রি নফল ছালাত আদায় করল, এবং যে ব্যক্তি ফজর ছালাত জামাতের সাথে আদায় করবে, সে যেন পূর্ণ রাত্রি নফল ছালাত আদায় করল। (মুসলিম)

ছালাতই কিয়ামত দিবসে আরশের নীচে ছায়া লাভের মাধ্যম: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
কিয়ামত দিবসে সাত ধরণের ব্যক্তিকে আরশের নীচে ছায়া দান করা হবে যে দিন আল্লাহ্‌র আরশের ছায়া ব্যতীত কোন ছায়া থাকবে না- তাদের মধ্যে একজন হচ্ছে এমন ব্যক্তি যার হৃদয় লটকানো থাকে মসজিদেঅর্থাৎ যখনই ছালাতের সময় হয় সে ছুটে যায় মসজিদের পানে। (বুখারী ও মুসলিম)

মুনাফেকী এবং জাহান্নাম থেকে মুক্তি লাভ: 
রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন
যে ব্যক্তি আল্লাহ্‌র জন্য চল্লিশ দিন (২০০ ওয়াক্ত) জামাতের সাথে ইমামের তাকবীরে তাহরীমার সাথে ছালাত আদায় করবে তার জন্য দুটি মুক্তি নামা লিখা হবে 
১) জাহান্নাম থেকে মুক্তি এবং 
২) মুনাফেক্বী থেকে মুক্তি। (তিরমিযী, দ্র: ছহীহুল জামে হা/৬৩৬৫)

No comments

Powered by Blogger.