Header Ads

Header ADS

সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ


সালাত পরবর্তী দুয়া ও জিকির সমূহ



সহীহ সুন্নাহ থেকে ফরজ সালাত সমাপান্তে ইমাম-মুক্তাদী সবার জন্য পঠিতব্য দুয়া ও জিকির সমূহ উপস্থাপন করা হল: (1)
 اَللهُ أَكْبَرُ، أَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ، اَسْتَغْفِرُ اللهَ -
উচ্চারণ : ১. আল্লা-হু আকবার (একবার পড়বে)আসতাগফিরুল্লাহ, আসতাগফিরুল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ (তিনবার)
অর্থ : আল্লাহ সবার চেয়ে বড়আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।[1]
(2) اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ، تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَ الْإِكْرَامِ.
২. আল্লা-হুম্মা আন্তাস্ সালা-মু ওয়া মিন্কাস্ সালা-মু, তাবা-রক্তা ইয়া যাল জালা-লি ওয়াল ইকরাম
অর্থ :হে আল্লাহ! আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তিবরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিকএটুকু পড়েই ইমাম উঠে যেতে পারেন। [2]
এই সময় তিনি তাঁর স্থান থেকে একটু সরে গিয়ে সুন্নাত পড়বেন, যাতে দুই স্থানের মাটি ক্বিয়ামতের দিন তার ইবাদতের সাক্ষ্য দেয় যেমন আল্লাহ বলেন ,يَوْمَئِذٍ تُحَدِّثُ أَخْبَارَهَا 
ক্বিয়ামতের দিন মাটি তার সকল বৃত্তান্ত বর্ণনা করবে।[3]
(3)
 لآ إِلَهَ إِلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيْرٌ، لاَحَوْلَ وَلاَ قُوَّةَ إلاَّ بِاللهِ- اَللَّهُمَّ أَعِنِّيْ عَلَى ذِكْرِكَ وَ شُكْرِكَ وَ حُسْنِ عِبَادَتِكَ، اَللَّهُمَّ لاَ مَانِعَ لِمَا أَعْطَيْتَ وَلاَ مُعْطِيَ لِمَا مَنَعْتَ وَلاَ يَنْفَعُ ذَا الْجَدِّ مِنْكَ الْجَدُّ-
৩. লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ, লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর; লা হাওলা ওয়ালা কুউওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ। [4] আল্লা-হুম্মা আইন্নী আলা যিকরিকা ওয়া শুক্রিকা ওয়া হুসনে ইবা-দাতিকাআল্লা-হুম্মা লা মা-নে লেমা আত্বায়তা অলা মুত্বিয়া লেমা মানাতা অলা ইয়ান্ফাউ যাল জাদ্দে মিন্কাল জাদ্দু
অর্থ : নেই কোন উপাস্য আল্লাহ ব্যতীত, যিনি একক ও শরীকবিহীনতাঁরই জন্য সকল রাজত্ব ও তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসাতিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালীনেই কোন ক্ষমতা, নেই কোন শক্তি, আল্লাহ ব্যতীত।[5] ‘হে আল্লাহ! আপনাকে স্মরণ করার জন্য, আপনার শুকরিয়া আদায় করার জন্য এবং আপনার সুন্দর ইবাদত করার জন্য আমাকে সাহায্য করুন।[6] ‘হে আল্লাহ! আপনি যা দিতে চান, তা রোধ করার কেউ নেই এবং আপনি যা রোধ করেন, তা দেওয়ার কেউ নেইকোন সম্পদশালী ব্যক্তির সম্পদ কোন উপকার করতে পারে না আপনার রহমত ব্যতীত। [7]
(4)
 رَضِيتُ بِاللَّهِ رَبًّا وَّبِالْإِسْلاَمِ دِيْنًا وَّبِمُحَمَّدٍ نَبِيًّا-
৪. রাযীতু বিললা-হে রববাঁও ওয়া বিল ইসলা-মে দীনাঁও ওয়া বিমুহাম্মাদিন্ নাবিইয়া
অর্থ: আমি সন্তুষ্ট হয়ে গেলাম আল্লাহর উপরে প্রতিপালক হিসাবে, ইসলামের উপরে দ্বীন হিসাবে এবং মুহাম্মাদের উপরে নবী হিসাবে
 
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
যে ব্যক্তি এই দোআ পাঠ করবে, তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে।[8]
(5)
 اَللَّهُمَّ إِنِّىْ أَعُوْذُبِكَ مِنَ الْجُبْنِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ الْبُخْلِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ أَرْذَلِ الْعُمُرِ وَأَعُوْذُبِكَ مِنْ فِتْنَةِ الدُّنْيَا وَ عَذَابِ الْقَبْرِ-
৫. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল জুব্নে ওয়া আঊযুবিকা মিনাল বুখ্লে ওয়া আঊযুবিকা মিন আরযালিল উমুরে; ওয়া আঊযুবিকা মিন্ ফিৎনাতিদ দুন্ইয়া ওয়া আযা-বিল ক্বাবরে
অর্থঃহে আল্লাহ! (১) আমি আপনার নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করছি ভীরুতা হতে (২) আশ্রয় প্রার্থনা করছি কৃপণতা হতে (৩) আশ্রয় প্রার্থনা করছি নিকৃষ্টতম বয়স হতে এবং (৪) আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুনিয়ার ফিৎনা হতে ও (৫) কবরের আযাব হতে।[9]
(6)
 اَللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوْذُ بِكَ مِنَ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْجُبْنِ وَالْبُخْلِ وَضَلَعِ الدَّيْنِ وَغَلَبَةِ الرِّجَالِ -
৬. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আঊযুবিকা মিনাল হাম্মে ওয়াল হাযানে ওয়াল আজঝে ওয়াল কাসালে ওয়াল জুবনে ওয়াল বুখলে ওয়া যালাইদ দায়নে ওয়া গালাবাতির রিজা-লে
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকটে আশ্রয় প্রার্থনা করছি দুশ্চিন্তা ও দুঃখ-বেদনা হতে, অক্ষমতা ও অলসতা হতে, ভীরুতা ও কৃপণতা হতে এবং ঋণের বোঝা ও মানুষের যবরদস্তি হতে।[10]
(7)
 سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ عَدَدَ خَلْقِهِ وَ رِضَا نَفْسِهِ وَ زِنَةَ عَرْشِهِ وَ مِدَادَ كَلِمَاتِهِ-
৭. সুবহা-নাল্লা-হে ওয়া বেহাম্দিহী আদাদা খাল্ক্বিহী ওয়া রিযা নাফ্সিহী ওয়া ঝিনাতা আরশিহী ওয়া মিদা-দা কালেমা-তিহ (৩ বার)
অর্থ : মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্যতাঁর সৃষ্টিকুলের সংখ্যার সমপরিমাণ, তাঁর সত্তার সন্তুষ্টির সমপরিমাণ এবং তাঁর আরশের ওযন ও মহিমাময় বাক্য সমূহের ব্যাপ্তি সমপরিমাণ।[11]
(8)
 يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلَى دِيْنِكَ، اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ-
৮. ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলূবে ছাবিবত ক্বালবী আলা দ্বীনিকা, আল্লা-হুম্মা মুছারিরফাল কবুলূবে ছাররিফ ক্বুলূবানা আলা ত্বোয়া-আতিকা
অর্থ : হে হৃদয় সমূহের পরিবর্তনকারী! আমার হৃদয়কে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখোহে অন্তর সমূহের রূপান্তরকারী! আমাদের অন্তর সমূহকে তোমার আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে দাও।[12]
(9) اَللَّهُمَّ أَدْخِلْنِىْ الْجَنَّةَ وَ أَجِرْنِىْ مِنَ النَّارِ-
৯. আল্লা-হুম্মা আদখিলনিল জান্নাতা ওয়া আজিরনী মিনান্ না-র (৩ বার)
অর্থ : হে আল্লাহ তুমি আমাকে জান্নাতে প্রবেশ করাও এবং জাহান্নাম থেকে পানাহ দাও! [13]
(10) اَللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ الْهُدَى وَالتُّقَى وَالْعَفَافَ وَالْغِنَى-
১০. আল্লা-হুম্মা ইন্নী আসআলুকাল হুদা ওয়াত তুক্বা ওয়াল আফা-ফা ওয়াল গিণা
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমার নিকটে সুপথের নির্দেশনা, পরহেযগারিতা, পবিত্রতা ও সচ্ছলতা প্রার্থনা করছি।[14]
(11)
 سُبْحَانَ اللهِ، اَلْحَمْدُ ِللهِ، اَللهُ أَكْبَرُ، لآ إلهَ إلاَّ اللهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ، لَهُ الْمُلْكُ وَ لَهُ الْحَمْدُ وَ هُوَ عَلَى كُلِّ شَيْئٍ قَدِيْرٌ-
১১. সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার)আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার)আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার)লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহূ লা শারীকা লাহূ; লাহুল মুল্কু ওয়া লাহুল হাম্দু ওয়া হুয়া আলা কুল্লে শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার)অথবা আল্লা-হু আকবার (৩৪ বার)
অর্থ : পবিত্রতাময় আল্লাহযাবতীয় প্রশংসা আল্লাহর জন্যআল্লাহ সবার চেয়ে বড়নেই কোন উপাস্য একক আল্লাহ ব্যতীত; তাঁর কোন শরীক নেইতাঁরই জন্য সমস্ত রাজত্ব ও তাঁরই জন্য যাবতীয় প্রশংসাতিনি সকল কিছুর উপরে ক্ষমতাশালী।[15]
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন
যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরয ছালাতের পর উক্ত দোআ পাঠ করবে, তার সকল গোনাহ মাফ করা হবেযদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয়। [16]
অন্য বর্ণনায় এসেছে,
তিনি আয়েশা ও ফাতেমা (রাঃ)-কে বলেন, তোমরা এ দোআটি প্রত্যেক ছালাতের শেষে এবং শয়নকালে পড়বেএটাই তোমাদের জন্য একজন খাদেমের চাইতে উত্তম হবে।[17]
(12) سُبْحَانَ اللهِ وَ بِحَمْدِهِ ، سُبْحَانَ اللهِ الْعَظِيْمِ-
১২. সুব্হা-নাল্লা-হি ওয়া বিহাম্দিহী, সুব্হা-নাল্লা-হিল আযীমঅথবা সকালে ও সন্ধ্যায় ১০০ বার করে সুবহা-নাল্লা-হে ওয়া বেহামদিহীপড়বে
অর্থ :মহাপবিত্র আল্লাহ এবং সকল প্রশংসা তাঁর জন্যমহাপবিত্র আল্লাহ, যিনি মহানএই দোআ পাঠের ফলে তার সকল গোনাহ ঝরে যাবেযদিও তা সাগরের ফেনা সমতুল্য হয় 
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এই দোআ সম্পর্কে বলেন যে
দুটি কালেমা রয়েছে, যা রহমানের নিকটে খুবই প্রিয়, যবানে বলতে খুবই হালকা এবং মীযানের পাল্লায় খুবই ভারীতা হল সুব্হা-নাল্লা-হি….।[18]
ইমাম বুখারী (রহঃ) তাঁর জগদ্বিখ্যাত কিতাব ছহীহুল বুখারী উপরোক্ত হাদীছ ও দোআর মাধ্যমে শেষ করেছেন
(13)
 اَللهُ لآ إِلهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ، لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَّلاَ نَوْمٌ، لَهُ مَا فِى السَّمَاوَاتِ وَمَا فِى الْأَرْضِ، مَنْ ذَا الَّذِىْ يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ، يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيْهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيْطُوْنَ بِشَيْئٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَآءَ، وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ، وَلاَ يَئُودُهُ حِفْظُهُمَا وَ هُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيْمُ-
১৩. আয়াতুল কুরসী: আল্লা-হু লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমলা তাখুযুহু সেনাতুঁ ওয়ালা নাঊমলাহূ মা ফিস্ সামা-ওয়াতে ওয়ামা ফিল আরযমান যাল্লাযী ইয়াশফাইন্দাহূ ইল্লা বিইয্নিহিইয়ালামু মা বায়না আয়দীহিম ওয়ামা খালফাহুম, ওয়ালা ইউহীতূনা বিশাইয়িম্ মিন ইল্মিহী ইল্লা বিমা শা-আ; ওয়াসেআ কুরসিইয়ুহুস্ সামা-ওয়া-তে ওয়াল আরয; ওয়ালা ইয়াউদুহূ হিফযুহুমা ওয়া হুওয়াল আলিইয়ুল আযীম (বাক্বারাহ ২/২৫৫)
অর্থ : আল্লাহ, যিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেইযিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারক কোন তন্দ্রা বা নিদ্রা তাঁকে পাকড়াও করতে পারে নাআসমান ও যমীনে যা কিছু আছে সবকিছু তাঁরই মালিকানাধীনতাঁর হুকুম ব্যতীত এমন কে আছে যে তাঁর নিকটে সুফারিশ করতে পারে? তাদের সম্মুখে ও পিছনে যা কিছু আছে সবকিছুই তিনি জানেনতাঁর জ্ঞানসমুদ্র হতে তারা কিছুই আয়ত্ত করতে পারে না, কেবল যতুটুকু তিনি দিতে ইচ্ছা করেনতাঁর কুরসী[19] সমগ্র আসমান ও যমীন পরিবেষ্টন করে আছেআর সেগুলির তত্ত্বাবধান তাঁকে মোটেই শ্রান্ত করে না তিনি সর্বোচ্চ ও মহান
রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
প্রত্যেক ফরয ছালাত শেষে আয়াতুল কুরসী পাঠকারীর জান্নাতে প্রবেশ করার জন্য আর কোন বাধা থাকে না মৃত্যু ব্যতীত’ (নাসাঈ)
শয়নকালে পাঠ করলে সকাল পর্যন্ত তার হেফাযতের জন্য একজন ফেরেশতা পাহারায় নিযু্ক্ত থাকেযাতে শয়তান তার নিকটবর্তী হতে না পারে’ (বুখারী)। [20]
(14) اَللَّهُمَّ اكْفِنِيْ بِحَلاَلِكَ عَنْ حَرَامِكَ وَ أَغْنِنِىْ بِفَضْلِكَ عَمَّنْ سِوَاكَ-
১৪. আল্লা-হুম্মাক্ফিনী বেহালা-লেকা আন হারা-মেকা ওয়া আগ্নিনী বেফায্লেকা আম্মান সেওয়া-কা
অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাকে হারাম ছাড়া হালাল দ্বারা যথেষ্ট করুন এবং আপনার অনুগ্রহ দ্বারা আমাকে অন্যদের থেকে মুখাপেক্ষীহীন করুন!
রাসূল (ছাঃ) বলেন,
এই দোআর ফলে পাহাড় পরিমাণ ঋণ থাকলেও আল্লাহ তার ঋণ মুক্তির ব্যবস্থা করে দেন।[21]
(15)
 أَسْتَغْفِرُ اللهَ الَّذِىْ لآ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَىُّ الْقَيُّوْمُ وَ أَتُوْبُ إِلَيْهِ-
১৫. আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযী লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল হাইয়ুল ক্বাইয়ূমু ওয়া আতূবু ইলাইহে
অর্থ : আমি আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করছিযিনি ব্যতীত কোন উপাস্য নেই যিনি চিরঞ্জীব ও বিশ্বচরাচরের ধারকআমি অনুতপ্ত হৃদয়ে তাঁর দিকে ফিরে যাচ্ছি বা তওবা করছিএই দোআ পড়লে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন, যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলাতক আসামী হয়।[22] রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দৈনিক ১০০ করে বার তওবা করতেন।[23]
১৬. রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রত্যেক ছালাতের শেষে সূরা ফালাক্বনাসপড়ার নির্দেশ দিতেন।[24] তিনি প্রতি রাতে শুতে যাওয়ার সময় সূরা ইখলাছ, ফালাক্ব ও নাস পড়ে দুহাতে ফুঁক দিয়ে মাথা ও চেহারাসহ সাধ্যপক্ষে সমস্ত শরীরে হাত বুলাতেনতিনি এটি তিনবার করতেন। [25]
_________________________________________________________________________
Reference:
[1] . মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/৯৫৯, ৯৬১ ছালাত পরবর্তী যিকরঅনুচ্ছেদ-১৮
[2] . মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬০উল্লেখ্য যে, শায়খ জাযারী বলেন, এই সাথেইলায়কা ইয়ারজিউস সালাম, হাইয়েনা রববানা বিস সালা-ম, ওয়া আদখিলনা দা-রাকা দা-রাস সালাম…’-বৃদ্ধি করার কোন ভিত্তি নেইএটি কোন গল্পকারের সৃষ্টি। -মিশকাত আলবানী হা/৯৬১-এর টীকা দ্র:
[3] . যিলযাল ৯৯/৪; নায়ল ৪/১০৯-১০ পৃঃ
[4] . সালাম ফিরানোর পরে রাসূল (ছাঃ) এটুকু তাঁর সর্বোচ্চ স্বরে পড়তেনমুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৩
[5] . মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৩, ‘ছালাতঅধ্যায়-৪, ‘ছালাতের পর যিকরঅনুচ্ছেদ-১৮
[6] . আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৯৪৯
[7] . মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/৯৬২
[8] . আবুদাঊদ হা/১৫২৯, ‘ছালাতঅধ্যায়-২, ‘ক্ষমা প্রার্থনাঅনুচ্ছেদ-৩৬১
[9] . বুখারী, মিশকাত হা/৯৬৪
[10] . মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২৪৫৮ দোআ সমূহঅধ্যায়-৯, ‘আশ্রয় প্রার্থনাঅনুচ্ছেদ-৮
[11] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৩০১ দোআ সমূহঅধ্যায়, ‘তাসবীহ ও হামদ পাঠের ছওয়াবঅনুচ্ছেদ-৩; আবুদাঊদ হা/১৫০৩
[12] . তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১০২ ঈমানঅধ্যায়-১, ‘তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাসঅনুচ্ছেদ-৩; মুসলিম, মিশকাত হা/৮৯
[13] . তিরমিযী, নাসাঈ, মিশকাত হা/২৪৭৮ দোআ সমূহঅধ্যায়-৯, ‘আশ্রয় প্রার্থনাঅনুচ্ছেদ-৮
[14] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৪৮৪ দোআ সমূহঅধ্যায়-৯, ‘সারগর্ভ দোঅনুচ্ছেদ-৯
[15] . মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৬, ৯৬৭, ‘ছালাতঅধ্যায়-৪, ‘ছালাত পরবর্তী যিকরঅনুচ্ছেদ-১৮
[16] . মুসলিম, মিশকাত হা/৯৬৭
[17] . মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মুসলিম, মিশকাত হা/২৩৮৭-৮৮ দোআ সমূহঅধ্যায়-৯, ‘সকালে, সন্ধ্যায় ও শয়নকালে কি দোআ পড়তে হয়অনুচ্ছেদ- ৬
[18] . মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২২৯৬-৯৮, ‘দোআ সমূহঅধ্যায়-৯, ‘তাসবীহ, তাহমীদ, তাহলীল ও তাকবীর পাঠের ছওয়াবঅনুচ্ছেদ-৩; বুখারী হা/৭৫৬৩ তাওহীদঅধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৮
[19] . ইবনু কাছীর বলেন, সঠিক কথা এই যে, কুরসী ও আরশ পৃথক বস্ত্ত এবং আরশ কুরসী হতে বড়, বিভিন্ন হাদীছ ও আছার থেকে যা প্রমাণিত হয়’ (, তাফসীর) যেমন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, কুরসীর তুলনায় সপ্ত আকাশ ও পৃথিবী ময়দানে পড়ে থাকা একটি ছোট লোহার বেড়ীর ন্যায়আরশের তুলনায় কুরসী একই রূপ ছোট হিসাবে গণ্যইবনু কাছীর, তাফসীর বাক্বারাহ ২/২৫৫; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১০৯
[20] . নাসাঈ কুবরা হা/৯৯২৮, সিলসিলা ছহীহাহ হা/৯৭২; মিশকাত হা/৯৭৪, ‘ছালাতঅধ্যায়-৪, অনুচ্ছেদ-১৮; মুসলিম, বুখারী, মিশকাত হা/২১২২-২৩ কুরআনের ফাযায়েলঅধ্যায়-৮
[21] . তিরমিযী, বায়হাক্বী (দাওয়াতুল কাবীর), মিশকাত হা/২৪৪৯, ‘দোআ সমূহঅধ্যায়-৯, বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন দোঅনুচ্ছেদ-৭ ; ছহীহাহ হা/২৬৬
[22] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, মিশকাত হা/২৩৫৩ দোআসমূহঅধ্যায়-৯, ‘ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করাঅনুচ্ছেদ-৪; সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৭২৭
[23] . মুসলিম, মিশকাত হা/২৩২৫ ক্ষমা প্রার্থনা ও তওবা করাঅনুচ্ছেদ-৪
[24] . আহমাদ, আবুদাঊদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৯৬৯, ‘ছালাতঅধ্যায়-৪, ‘ছালাত পরবর্তী যিকরঅনুচ্ছেদ-১৮
[25] . মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/২১৩২ কুরআনের ফাযায়েলঅধ্যায়-৮

No comments

Powered by Blogger.